শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ অপরাহ্ন

হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা মেট্রোরেল নির্মাণ শুরু

বর্তমান সংবাদ ডেস্ক : / ৭২ বার পঠিত
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩, ৩:৫৮ অপরাহ্ণ

 

ডেস্ক রিপোর্ট : এমআরটি লাইন-৫ অর্থাৎ সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ঢাকার ভাটারা পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার পর মেট্রোরেলের মতিঝিল স্টেশনের কনকোর্স প্লাজায় তিনি এই নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, ১৩.৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড বা পাতাল অংশ এবং ৬.৫ কিলোমিটার এলিভেটেড বা উড়াল অংশ নিয়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ প্রকল্প। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১,২৩৮.৫৫ কোটি টাকা। ২০ কিলোমিটারের মধ্যে নির্মাণ করা হবে ১৪টি স্টেশন। এরমধ্যে ৯টি হবে আন্ডারগ্রাউন্ডে। ২০২৮ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ডিএমটিসিএলের।

এমআরটি লাইন-৫ এর ১৪টি স্টেশন হলো- হেমায়েতপুর, বলিয়ারপুর, বিলামালিয়া, আমিন বাজার, গাবতলী, দারুস সালাম, মিরপুর ১, মিরপুর ১০, মিরপুর ১৪, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান ২, নতুন বাজার, ভাটারা। এর মধ্যে পাতাল স্টেশন- গাবতলী, দারুস সালাম, মিরপুর ১, মিরপুর ১০, মিরপুর ১৪, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান ২ ও নতুন বাজার। বাকি পাঁচটি উড়াল স্টেশন হলো- হেমায়েতপুর, বলিয়ারপুর, বিলামালিয়া, আমিন বাজার ও ভাটারা।

এ রুটের মেট্রোরেলে প্রতিদিন প্রায় ১২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিটি একমুখী মেট্রো ট্রেন প্রতিবারে ১৪টি স্টেশনে থেমে ৩২ মিনিটে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত যাতায়াত করবে। ৮ কোচবিশিষ্ট ১৮ সেট মেট্রো ট্রেন দিয়ে পরিচালনা শুরু করা হবে। তবে ভবিষ্যতে ৪২ সেট মেট্রো ট্রেনে উন্নীত করার সুযোগ থাকবে। মাঝের ছয়টি কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৯০ জন এবং ট্রেইলার কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৭৪ জন যাত্রী পরিবহন করা হবে। প্রতিটি মেট্রো ট্রেনে সর্বোচ্চ ৩০৮৮ জন যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা রয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় উভয়দিকে ৫৩,২০০ যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে। অল্প সময়ে অধিক সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের ফলে ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে। জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানির ব্যবহার কম হবে।

ঢাকা মহানগরীর জীবনযাত্রায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ হবে। যানজট বহুলাংশে হ্রাস পাবে। মহানগরবাসীর কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে। সাশ্রয়কৃত কর্মঘণ্টা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে। এমআরটি লাইন-৫ এর টানেল মূল সড়ক বরাবর মাটির ৫৬ ফুট থেকে ১৫৩ ফুট গভীরতায় নির্মাণ করা হবে। টানেল নির্মাণে ব্যবহার করা হবে বর্তমান সময়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম)। বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর