শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন

‘যারা আমাদের মানবাধিকার শেখায়, তাদের মাস্টার বাংলাদেশ’

ডেস্ক রিপোর্ট / ৪৪ বার পঠিত
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৩:৩৪ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যেন আমাদের মানবাধিকার না শেখায়। বরং তাদের প্রয়োজনে বাংলাদেশ মানবাধিকার শেখাবে। যারা আমাদের মানবাধিকার শেখায়, তাদের মাস্টার বাংলাদেশ।’

রোববার বেলা ১২টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে, সেখানেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা সচেতন হয়েছি বলেই, তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) শিক্ষা দিতে চাই। মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত গড়েছে বাংলাদেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশকে মানবাধিকার শেখাতে না আসে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ তাদের মানবাধিকার শেখাবে। ফিলিস্তিনির গাজায় নৃশংস ঘটনায় তারা (যুক্তরাষ্ট্র) চুপ, অথচ সারা বিশ্বে তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। জাতিসংঘ যখন গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিল, তখন তারা ভেটো দিল। তারা যেন আর মানবাধিকার শেখায় না, তাদের প্রয়োজনে বাংলাদেশ মানবাধিকার শেখাবে।এ সময় বিশ্বনেতাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার স্বীকৃতি চাওয়ার কথাও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আজকে বিশ্ব বিবেক কোথায়? চোখের সামনে গাজায় নির্বিচারে কত মানুষ, মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে। অথচ সারাবিশ্ব নীরব ভূমিকা পালন করছে। এই বর্বর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সারাবিশ্বকে একজোট হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এসব ঘটনায় আমি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে অত্যন্ত দুঃখ ও চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনে ইসরায়েল বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি সংকট মোকাবিলায় দূরদর্শী নেতৃত্ব ও মানবিকতার জন্য বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছে। করোনাভাইরাসের মহামারিতে বাংলাদেশ মানবাধিকার সুরক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাংলাদেশ মানবাধিকার সুরক্ষায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ২০০৯ সাল থেকে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দরিদ্র হ্রাস, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ বিস্তার, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস ও নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থসামাজিক নানান সূচকে তাৎপর্যপূর্ণ সফলতা অর্জন করেছে। যেখানে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মানবতা লঙ্ঘিত ও লুণ্ঠিত হয়েছিল। তিনিই মানবাধিকারের প্রতি দৃঢ় আস্থা ও অঙ্গীকার থেকে ২০০৯ সালে মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছিলেন, ‘আমি ভুক্তভোগী, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ যেন ভুক্তভোগী না হয়।’ এতবড় মহান ব্যক্তিকে আমি শুভেচ্ছা জানাই।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, যুদ্ধ নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান হবে। সব ধরনের সংঘাতের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিতকরণ ও নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত মানবাধিকার দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

Facebook Comments Box


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর