শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন

বুধবার চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

ডেস্ক রিপোর্ট / ৩৬ বার পঠিত
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪, ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক : চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে চার দিনের সরকারি সফরে বেইজিং পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা) বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এর আগে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

চীনে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বুধবার পৃথক বৈঠক করবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ বিষয়ে একটি শীর্ষ বৈঠকে আজ যোগ দেবেন।

দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে ২০টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে এবং কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণাও আসতে পারে। গ্রেট হল অব দ্য পিপলে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। সেখানে ১০ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত অভ্যর্থনা ভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।

এর আগে ৯ জুলাই ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিং ও এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও তিয়েনআনমেন স্কয়ারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি। ১১ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে চীন থেকে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।

এই সফর দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত বিস্তৃত সহযোগিতা অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের এই দ্বিপাক্ষিক সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০টি থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই সফরকালে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি ও দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের সমঝোতা স্মারকগুলো সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Facebook Comments Box


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর