ডেস্ক রিপোর্ট : নেপালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৬৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে এএফপির বরাতে জানিয়েছে এনডিটিভি। উড়োজাহাজটিতে ৭২ জন আরোহী ছিলেন।
এএফপিকে ৬৭ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির পুলিশ।
বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটিতে ৬৮ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন।
পোখারা শহরের নতুন ও ও পুরাতন বিমানবন্দরের মধ্যে এটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত টুইন-ইঞ্জিন এটিআর ৭২ এয়ারক্র্যাফটি ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে পরিচালিত হতো।
এয়ারলাইন্সটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফ্লাইটে ১৫ জন বিদেশি যাত্রী ছিলেন। এর সঙ্গে ছয় শিশু ছিল। আরোহীদের মধ্যে ৫৩ জন নেপাল, পাঁচজন ভারত, চারজন রাশিয়া, দুজন কোরিয়ার এবং আর্জেন্টিনা, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক ছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা একে ছেত্রি এএফপিকে বলেন, ৩১টি মরদেহ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। উড়োজাহাজটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছে, অন্য ৩৬টি মরদেহ সেখানে পাওয়া গেছে।
নেপালি সাংবাদিক দিলিপ থাপা এনডিটিভিকে বলেন, বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটির ভাঙা অংশে আগুন থাকায় উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে পড়েছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল জরুরিভাবে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। দেশটির সরকার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দিয়েছে।
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ে।
পোখারা বিমানবন্দরের কাছাকাছি এসে সেতি নদীর তীরে এসে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। ওড়ার ২০ মিনিটের মাথায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এক শহর থেকে আরেক শহরের দূরত্ব মাত্র ২৫ মিনিটের।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বার্তাউলা এএফপিকে বলেন, আমরা এখনও জানি না, সেখানে কেউ বেঁচে আছে কিনা।
উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর এতে আগুন ধরে যায়। উদ্ধারকর্মীরা আগুন নেভাতে কাজ করেন বলে স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান।
বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটি ১৫ বছরের পুরোনো। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইট র্যাডার২৪ এই তথ্য জানিয়েছে। এটিআর ৭২ টুইন ইঞ্জিন টারবোপ্রপ উড়োজাহাজটি এয়ারবাস ও ইতালির লিওনার্দোর যৌথ উদ্যোগে নির্মিত।
২০২২ সালে তারা এয়ারের একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়ে ২২ জন আরোহী মারা যান। ২০১৮ সালে ইউ-এস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৫১ জনের প্রাণহানি ঘটে।
সুত্র : বাংলানিউজ
সম্পাদক : মোঃ তুহিন আহামেদ
নির্বাহী সম্পাদক : আহমদ মাজহারুর হক (আশরাফ)
প্রকাশক : শাহিনুর রহমান
Copyright © 2024 বর্তমান সংবাদ. All rights reserved.