ঢাকা : মা-বাবার খুবই আদরের তারা দুই বোন। ছেলে না থাকলেও দুই মেয়েকে নিয়েই সৈয়দ মুশাররফ হুসেন ও কিশুয়ার জেসমিন হুসেনের সুখের সংসার। সাবরিনাকে মিষ্টি বলেই ডাকে সবাই। দুই বোনের মধ্যে সাবরিন বড়। বাড়ি দিনাজপুরে। বাবা ছিলেন একজন সরকারি চাকুরীজীবি ও মা এমেরিকান প্রবাসী এবং সেখানেই চাকুরীরত।
ডাক্তার হয়ে মানুষের যেমন সেবা করে যাচ্ছেন, তেমনি ডাক্তারের পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। ডাক্তার সাবরিনা।
ডাক্তার সাবরিনার শৈশব কেটেছে নেদারল্যানডে, পরে ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন। এরপর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগদানের মাধ্যমে চাকুরী জীবন শুরু করেন তিনি।
পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কার্ডিও ভাস্কুলার ও থোরাসিক সার্জারিতে এমএস ডিগ্রি লাভ করেন।
পরে তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগে বিশেষজ্ঞ সার্জন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও টেলিভিশনে স্বাস্থ্য বিষয়ক টকশো করেও পরিচিতি লাভ করেন ডা: সাবরিনা।
মানুষের সেবা করার লক্ষে ডাক্তারি পেশার পাশাপাশি তিনি আইন পেশায় যুক্ত হতে চাইলেন। যেমন চিন্তা তেমন কাজ। বর্তমানে তিনি একটি 'ল’ কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্রী।
তার উদ্দশ্য আইনজীবী হয়ে তিনি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। আইওনী সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে থাকতে চান তিনি।
২০২০ সালে একটি প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে যান তিনি। জেল জীবন ও জেলের ভেতর বন্দীদের ব্যক্তি জীবন এবং জেলে আসার প্রেক্ষাপট খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরার ও আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে সকলের জন্য ন্যয়বিচার নিশ্চিতের তাগিদেই বই লিখছেন সাবরিনা।
“বন্দীনি” নামে প্রথম প্রকাশিত বই তার, আসছে বইমেলায় এই বইটি আসার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি লেখার কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন।
সম্পাদক : মোঃ তুহিন আহামেদ
নির্বাহী সম্পাদক : আহমদ মাজহারুর হক (আশরাফ)
প্রকাশক : শাহিনুর রহমান
Copyright © 2024 বর্তমান সংবাদ. All rights reserved.