বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ন

অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে এসে নিখোঁজের দুই মাস পর নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো: শফিউল্লাহ রিয়াদ, সাভার / ৪৭ বার পঠিত
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:২৪ অপরাহ্ণ

সাভার : বাংলাদেশী বংশদূত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক রেহেনা পারভিন (৩৫)। গেল দুই মাস আগে বাংলাদেশে এসে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের দুই মাস পর ঢাকার আশুলিয়ায় মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় দুইজনকে আটকও করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে আশুলিয়ার মনোদিয়া চওড়াপাড়া এলাকায় নিহতের ননদের বাড়ির উঠান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত রেহেনা পারভিন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পাতিলা গ্রামের লেহাজ উদ্দিনের মেয়ে এবং তিনি তার চার সন্তান ও স্বামী আওলাদ হোসেনকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া থাকতেন। তিনি বাংলাদেশী বংশদূত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ছিলেন।

আটককৃতরা হলেন, নিহতের ননদ পাপিয়া আক্তার এবং চাচা আমজাদ হোসেন।

পুলিশ জানায়, গেল ২৯ জুন রেগেনা পারভিন অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে আসেন। উঠেন বাবার বাড়িতে। পরের দিন ৩০ জুন তার বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুড় বাড়ি যান। শ্বশুড়বাড়িতে কিছু দিন থাকার পরে ৩ জুলাই তিনি বাবার বাড়িতে ফোনে জানান তাকে মারধর করা হয়েছে। এরপর থেকেই তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার পর ৩ জুলাই ঢাকার নবাবগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করা হয় তার পরিবারের পক্ষ থেকে। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর তার স্বামী আওলাদ হোসেন, চাচা আমজাদ হোসেন, ননদ পাপিয়া আক্তার এবং মাকসুদা সহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। ওই মামলায় নিহতের চাচা আমজাদ হোসেন ও ননদ পাপিয়া আক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তার মরদেহের খোঁজ মেলে। তবে রেহেনার স্বামী পিলাতক রয়েছে।

নিহতের মা আইরিন আক্তার জানান, ১৬ বছর আগে রেহেনাকে পড়াশোনার জন্য অস্ট্রেলিয়া পাঠিয়েছিলাম। সেখানেই আওলাদেরবসাথে তার পরিচয় হয় এবং তারা বিয়ে করেন। তাদের ঘরে চারজন সন্তান হয়। স্বামী-সন্তান নিয়ে সেখানেই বসবাস করতো রেহেনা। অস্ট্রেলিয়া থাকাকালীন সময়ে তার মেয়ে অনেক সম্পদের মালিক হন। সেই সম্পদের জন্যই তার মেয়েকে হত্যা করে গুম করেছে পাষন্ডরা। তিনি সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি চান।

নবাবগঞ্জ থানার এস আই নূর মোহাম্মদ খান জানান, ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের দেয়া তথ্যমতে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরেই তাকে হত্যা ও লাশবমাটিতে পুতে রাখা হতে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দোহার সার্কেল) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, তাদের বেশিরভাগ সম্পত্তি দেশে থাকায় মাঝে মধ্যেই রেহেনা পারভিন দেশে আসতেন। তবে সেই সম্পত্তির অধিকাংশই রেহেনা পারভিনের নামে। এর জের ধরেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে তুলে নিয়ে হত্যা করে লাশ নির্মাণাধীন বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা হয় বলেও জানান তিনি।

Facebook Comments Box


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর