সাভার : শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় আধিপত্য বিস্তার ও ঝুট ব্যবসা দখলে নিতে শিমুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমির হোসেন জয়ের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় ওই যুবলীগ নেতার বাবা, মা, ভাই ও চাচা সহ তার পরিবারের ৮জন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি মেশিনপাড় এলাকায় শিমুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমির হোসেন জয়ের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন আব্দুল হক, নুরুল ইসলাম, আতোয়ার রহমান, শামসুল, হৃদয় আহমেদ জিয়াসহ কমপক্ষে ৮ জন। এদের মধ্যে একজনকে সাভারের এনাম মেডিকেল ও বাকিদের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- ইব্রাহিম, আওলাদ,
পারভেজ, শাহিন, শহিদসহ আরও অনেকে। তারা সবাই আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস পালোয়ানের অনুসারি বলে দাবি ভুক্তভোগী যুবলীগ নেতার।
আহত হৃদয় আহমেদ জিয়া বলেন, শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি মেশিনপাড় এলাকাতে এ্যাপারেল টুডে লিমিটেড কারখানায় ঝুট ব্যবসা করেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমির হোসেন জয়ের বড় ভাই হাজী আমান। সকালে কয়েক’শ লোক 1 রহমান, তার বড়
ভাই হাজী আমান উল্লাহ ও তার মাসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। ঝুট ব্যবসা দখলের জন্যই এ হামলা করেছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী। এ হামলায় আমিও আহত হয়েছি।
এ বিষয়ে হাজী আমানউল্লাহ আমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ঝুট ব্যবসা করে আসছিলাম। আজ আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস পালোয়ানের লোকজন ঝুট ব্যবসা দখলে নিতে আমাদের বাড়িতে হামলা করে বৃদ্ধ বাবা-মাসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করেছে।
শিমুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমির হোসেন জয় বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছি। এটাই আমাদের অপরাধ। হামলাকারীরা জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে বর্তমান এমপির সঙ্গে কাজ করেছে। সাভারে নৌকা হেরে যাওয়ায় নৌকা বিরোধী আওয়ামী লীগের পদধারী লোকজনই আমাদের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। আমাদের বাড়ির গেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে আমাদের পরিবারের পাঁচজন সদস্যসহ ৮ থেকে ১০ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস পালোয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে আমি ঢাকায় অবস্থান করছি।
হামলার ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। একটা মহল আমার নাম ব্যবহার করছে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমারত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।