ঢাকা : বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবার সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের একটা বড় সুযোগ। দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার একটা সুযোগ, যা আমি পেয়েছি।
রোববার ঢাকার পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পেরেছি, এজন্য আমি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে আবার আমাদেরকে জয়ী করায়, তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবার সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যাতে মাথা উচু করে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে, সেই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এখন কূটনীতি হবে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক না; সেই বার্তাই দেয়া হয়েছে বিদেশি মিশনগুলোকে।
গভীর সমুদ্র বন্দরের পাশাপাশি স্থল বন্দরগুলোও চালু করা হয়েছে, এখন দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সহজে পণ্য পরিবহন সহজীকরণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর কাজ করছে সরকার।
পাট, চামড়াসহ রফতানি পণ্য নিয়ে গবেষণার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টসকে যে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে বাকি সব পণ্যেও সমসুযোগ দেয়া হবে।
রফতানিপণ্য বহুমুখীকরণের নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ২০২৬ সালে যাওয়ার যে সুযোগ আসবে, তা কাজে লাগাতে হবে আমাদের। তাই আগামীর চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ মোকাবিলা করার জন্য সরকার আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উন্নয়নের স্বার্থেই প্রয়োজন ছিল সরকারে আসার। আমাদের প্রস্তুতি থাকলে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন হবে না।
আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের একটা সুযোগ। মানুষের কল্যাণে কাজ করা, মানুষকে সেবা দেয়ার সুযোগ আমি পেয়েছি। তাই সবার সহযোগিতা নিয়ে দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে চাই; বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কারণে কিছুটা সময় পিছিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ আজ শুরু হলো।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, এবারের বাণিজ্য মেলার প্রবেশ টিকিট মূল্য গতবারের চেয়ে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর শিশুদের টিকিটের মূল্য ২০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০ টাকা।
এবারের আয়োজনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন ও স্টলের সংখ্যা ৩৫১টি। এছাড়া দুই হলে ১৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে থাকছে রেস্তোরাঁ, মসজিদ, ব্যাংক, এটিএম বুথ, শিশু পার্ক, মা ও শিশু কেন্দ্র।